হাসুন, আয়ু বাড়বে …

mustafiz

‘হাসিতে রোগ সারে’ কথাটি শুনে কারও কারও হাসি পেতে পারে। কিন্তু কথাটি অত্যন্ত সত্য কথা। হাসির নিরাময় ক্ষমতা নিয়ে ডাক্তাররা প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং করছেন। যত গবেষণা হচ্ছে তত নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। চিকিৎসকেরা বলছেন বেশি করে হাসুন, তাহলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে। আর এতে দীর্ঘদিন বাঁচতে পারবেন আপনি।

mustafiz
অনুশীলনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান।

ডা. রেমন্ড মুদি তার ‘লাফ আফটার লাফ : দি হিলিং পাওয়ার অভ হিউমার’ গ্রন্থে লিখেছেন, হাসির সাথে শরীরের স্বাস্থ্যগত অবস্থার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমার পেশাগত জীবনে এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি যেখানে রোগীরা হাসি দিয়েই সুস্থতা অর্জন করেছে। ডা. মুদি বলেন যে, হাসির সাথে আয়ুর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। হাসির বেদনা লোপ করার ক্ষমতা প্রবল। হাসির সাথে ব্যথার সম্পর্ক একেবারে সাপে-নেউলে।

তিনি বলেন , হাসির সময় পেশীর টান অনেকটা আলগা হয়ে যায়। তাই দম ফাটানো হাসি পেশীর ব্যথা নিমেষে দূর করে দিতে পারে। ব্যাপারটিকে এভাবেও ব্যাখ্যা করা যায় : অচেতনভাবে পেশীতে সৃষ্ট টেনশন মাথাব্যথা সৃষ্টির কারণ বা বৃদ্ধির কারণ। হাসির সময় পেশী শিথিল হয়ে আক্রান্ত এলাকার টেনশন কমিয়ে দেয়। ফলে ব্যথা নিরাময় হয়। ডা. মুদি তার এক ডাক্তার বন্ধুর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি তাঁর রোগীদের হাসিয়েই তাদের মাথাব্যথা দূর করে দিতেন।

তাই হাসুন! প্রাণ খুলে হাসুন! হো তেই-এর মতো হাসুন। হো তেই ছিলেন জাপানি সাধক। বুদ্ধের বাণী প্রচার করতেন তিনি। তাঁর পুরো শিক্ষাই ছিল হাসি। শুধুমাত্র হাসি। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে; বাজার থেকে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন। গ্রামের মাঠে বা বাজারের মাঝখানে দাঁড়াতেন। তারপর হাসতে শুরু করতেন। এই হাসি ছিল তার বাণী।

গ্রামের লোকেরা হো তেই-এর জন্যে অপেক্ষা করতেন। কখন তিনি আসবেন?  কারণ তিনি নিয়ে আসতেন হাসি, আনন্দ, উচ্ছলতা, আশীর্বাদ। তাঁর সাথে হাসিতে যোগ দিয়ে দুঃখ-শোক ভুলে যেত, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত হতো মানুষ।