

২০১৫ সালে বাংলাদেশের সেরা রিটেইল ব্যাংক নির্বাচিত হয়েছে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে পরপর তিনবার এ সম্মাননা লাভ করল ইবিএল। দ্য এশিয়ান ব্যাংকার ব্যাংকটিকে এ সম্মাননা দেয়।
গত ১৯ মার্চ সিঙ্গাপুরের ক্যাপেলায় দ্য এশিয়ান ব্যাংকারের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স ইন রিটেইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস-২০১৫ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মাননা ট্রফিটি গ্রহণ করেন ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য, সেন্ট্রাল এশিয়া এবং আফ্রিকার ২৯টি দেশের পুরস্কারপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় ২০০ প্রতিনিধি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকদের জন্য উৎকৃষ্ট পণ্য ও সেবা আনয়নের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।
৩ মাসব্যাপী কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচিত করেছে দ্য এশিয়ান ব্যাংকার। আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কৌশলগত ব্যবসায়িক তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে দ্য এশিয়ান ব্যাংকার এসব অঞ্চলের সবচেয়ে কর্তৃত্বশালী ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
১৯৯২ সালে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ইবিএল নিজেকে রিটেইল ব্যাংকিং ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশের আর্থিক খাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকটির কোর বিজনেস যেমন N এসেট, ডিপোজিট, কার্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় এ সময় নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ১২% এর বেশি হলেও ইবিএল তা ৪.৩৬ শতাংশে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
মেয়াদি জমার ওপর প্রথাগত নির্ভরতা কমিয়ে ইবিএল লাভজনক বিকল্প মূলধন সংগ্রহে উদ্যোগী হয়েছে। গ্রাহকদের কার্ড ও কাসা (কারেন্ট একাউন্ট, সেভিংস একাউন্ট) একাউন্ট প্রতি আকৃষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়েছে। ফলস্বরূপ ২০১৪ সালে কাসা আমানত মেয়াদি আমানতের পরিমাণ অতিক্রম করে গেছে। এ সময় কাসা আমানত ৮.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদ্যমান কাসা হিসাবগুলোতে ব্যালেন্স গড়ে ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালে ৭০ হাজার নতুন কাসা হিসাব খোলা হয়েছে।
দ্য এশিয়ান ব্যাংকার কর্তৃক প্রবর্তিত এবং শীর্ষস্থানীয় আন্তজার্তিক ব্যাংকার, পরামর্শ ও একাডেমিকদের দ্বারা পরিচালিত পুরস্কার কর্মসূচিটি এসব অঞ্চলে অনুরূপ ক্ষেত্রে সর্বাধিক সম্মানজনক বলে বিবেচিত।