
চলতি ও আগামী বছরে এশিয়ার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। নিত্যপণ্যের দাম কম এবং শিল্প খাতের পুনরুত্থান এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে সামগ্রিক এশিয়ায় ভালো হলেও বাংলাদেশ তাতে তাল মেলাতে পারছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতায় আটকে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হলে, অবরোধ-হরতালে দ্বিতীয়ার্ধে তা হোঁচট খেয়েছে। তাই চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
এডিবি প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৫’ প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবছরই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের মতো ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতিকেও গতিশীল রাখবে বলে জানান এডিবি প্রধান অর্থনীতিবিদ স্যাং-জিন উই।
তার মতে, এ অঞ্চলের ভোগ্যপণ্যের দাম কমায় জ্বালানি ও অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটা এ অঞ্চলের জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরিতে সাহায্য করবে; যা দীর্ঘমেয়াদে এ অঞ্চলের সমষ্টিক অর্থনীতিকে সৃসংহত রাখতে সহায়তা করবে।
২০০৯ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলো বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ২ দশমিক ৩ শতাংশ হারে অবদান রেখেছিল। এ সময়ে চীন, লাওস, শ্রীলংকাসহ এই অঞ্চলের ৮টি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে ছিল।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব এশিয়া দেশগুলোতে ২০১৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হলেও ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে। এসব অঞ্চলের ২০১৪ সালের প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।