

ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমান এয়ারবাস এ৩২০-২০০ সাগরের তলদেশে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিমের প্রধান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটি সাগরের তলদেশে রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় সময় রোববার সকালে ৬টা ১২মিনিটে জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিমানটি। সে সময় রাডার স্ক্রিনে ধরা পড়েছিল এটি। বিমানটি থেকে বলা হয়েছিল, মেঘ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখন বিমান থেকে রুট পরিবর্তনের অনুরোধ করা হয়। তবে কোনো বিপদ সঙ্কেত দেওয়া হয়নি।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী জানান, নিখোঁজ বিমানের সর্বশেষ অব্স্থান নির্ণয় করে সেখানে তল্লাশি চলছে। অভিযানের ব্যাপকতা বাড়ানো হবে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী, জাতীয় উদ্ধারকারী সংস্থা, সিঙ্গাপুরের দপ্তরও এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
এয়ারএশিয়ার ৫১ শতাংশের মালিকানায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। অপর ৪৯ শতাংশের মালিকানা মালয়েশিয়ার কাছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার স্থানীয় সময় সকালে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়া ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ এর বিমানটি। ১৭ শিশুসহ ১৬২ জন আরোহী ছিলেন ওই বিমানে। এদের অধিকাংশই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
এয়ারএশিয়ার উদ্বৃতি দিয়ে বিবিসি জানায়, খারাপ আবহওয়ার কারণে রুট পরিবর্তনের জন্য পাইলটের কাছ থেকে একটি অনুরোধ পেয়েছিল তারা।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ঘন মেঘ এড়াতে আরও উচুতে উঠার অনুমতি চেয়েছিলেন পাইলট।