

মাদকদ্রব্য বিক্রি ও পতিতাবৃত্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অন্তর্ভুক্ত করে ফ্রান্সকে টপকে গেছে যুক্তরাজ্য।
শনিবার এক খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ২০১৪ সালের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ফ্রান্সকে পেছনে ফেলে যুক্তরাজ্য বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো মাদকদ্রব্য বিক্রি ও পতিতাবৃত্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে দেশটির জিডিপি ১ লাখ ৮৬ হাজার পাউন্ডে পৌঁছেছে।
এর মধ্যে পতিতাবৃত্তির অবদান ৪৩০ কোটি পাউন্ড এবং অবৈধ মাদকের ৬৭০ কোটি পাউন্ড। সব মিলিয়ে ব্রিটিশ জিডিপির দশমিক ৭ শতাংশ এ দুই খাত থেকে এসেছে, যা দেশটির জিডিপিতে কৃষিজ অবদানের সমান।
যুক্তরাজ্যের জিডিপিতে মাদক তৈরি এবং আমদানিকে উৎপাদন খাতে, নিজের ব্যবহার জন্য ক্রয়কে ব্যয় খাতে এবং বিক্রিকে আয় খাতে অন্তর্ভুক্ত করে এ হিসাব করা হয়েছে। তবে পতিতাবৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে যুক্তরাজ্য প্রথমবারের মাদক ও পতিতাবৃত্তিকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেয়।
ইউরোপে অবশ্য জিডিপিতে এই দুই পেশার আয় হিসাব করার রীতি নতুন নয়। সুইডেন, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও নরওয়েসহ কয়েকটি দেশে মাদকদ্রব্য বিক্রি ও পতিতাবৃত্তির আয়কে জিডিপির অন্তর্ভূক্ত হিসাবে গণ্য করা হয়।
এদিকে, ২০১৪ সালে ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ফ্রান্সের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার পাউন্ড। তবে ফ্রান্সে এখনও মাদক ও পতিতাবৃত্তিকে জিডিপির অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবলের হিসাব অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই আছে যথাক্রমে চীন ও জাপান। ব্রাজিলও সপ্তম অবস্থান অক্ষুণ রেখেছে। তবে রাশিয়া দুই ধাপ পিছিয়ে দশম স্থানে চলে যাওয়ায় অষ্টম ও নবম স্থানে উঠে এসেছে যথাক্রমে ইতালি ও ভারত।