

ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ই তাকে সিনেমার কাজে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালান।
সম্প্রতি ভারতের সংবাদ মাধ্যম লাইফমিন্টের এক সাক্ষাতকারে এসে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতকারটি শুক্রবার প্রকাশ করেছে এই সংবাদ মাধ্যম।
সাক্ষাতকারে বিদ্যা বালানকে প্রশ্ন করা হয়- প্রথম কখন বুঝতে পারলেন যে আপনি একজন অভিনেত্রী হতে চান। কে আপনার কাজের অনুপ্রেরণা। এক্ষেত্রে আপনার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা।
জবাবে বিদ্যা বালান বলেন, আমার বয়স যখন ৭ কিংবা ৮। তখনই অভিনয় আমাকে ব্যাপক আকর্ষণ করে। কিন্তু আমার মা-বাবা সেদিনের ইচ্ছাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি। এ বয়সে মেয়েরা এমনটি করে ভেবে বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এই মনোবাসনা দিন দিন আমার মধ্যে বাড়তে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ১২ কিংবা ১৩ বছরেই আমি সত্যজিৎ রায়ের লেখা পড়ি। তবে তার কোনো সিনেমা দেখিনি তখন। এরপরই আমি তার সাথে কাজ করার কঠোর প্রতিজ্ঞা করেছিলাম।
বিদ্যা বলেন, ১৯৯২ সালে মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে সত্যজিৎ রায় চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের জন্য অস্কার পুরস্কার পান। এসময় তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। আমি তার সুস্থ কামনা করে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু চিঠিটি পোস্ট করার আগেই তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।
২০০৩ সালে বাংলা ছবি ভালো থেকো তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এ অভিনেত্রীর। ২০০৫ সালে পরিণীতা ছবি দিয়ে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। ২০০৬ সালে তার অভিনীত লাগে রাহো মুন্নাভাই ছবিটি ছিল ব্লকবাস্টার হিট।
এর পর হেই বেবি (২০০৭) ও কিস্মত কানেকশন (২০০৮) এ গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হলেও পা (২০০৯), ইশকিয়া (২০১০), নো ওয়ান কিলড জেসিকা (২০১১), দ্য ডার্টি পিকচার (২০১১) ও কাহানি (২০১২) এ প্রশংসনীয় অভিনয় করে তিনি বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীতে পরিণত হন।
দ্য ডার্টি পিকচার ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ৪র্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্মশ্রী পদক লাভ করেন।
এস রহমান/