

বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভাগের উচ্চপদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। কারণ আগামীতে এ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নিয়োগ দেওয়া হতে পারে সরাসরি। আর বিভাগের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পদোন্নতি থাকতে পারে যুগ্ম পরিচালক পর্যন্ত।
জানা গেছে, গবেষণা বিভাগের জন্য এসব ধারা সংযোজন করে নতুন পরিবর্তিত নীতিমালা পাস করাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এ নীতিমালা অনুমোদিত হলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে বলে মনে করছেন এ বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিভাগে ৭৫ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। আগামী বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন নীতিমালা কার্যকর শুরুর প্রস্তাব রয়েছে।
বিভাগের কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন। এই নীতিমালা ন্যায়পরিপন্থী উল্লেখ করে তা বাস্তবায়নে অন্তত ৩ বছর সময় চেয়ে গভর্নর বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা।
বিদ্যমান নীতিমালায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ ও গবেষণা এই দুটি বিভাগের কর্মকর্তারা প্রায় একই উপায়ে নিয়োগ ও পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
জানা গেছে, প্রস্তাবিত নীতিমালায় পদোন্নতির নম্বর বিন্যাসের ক্ষেত্রে বিদেশি প্রথম শ্রেণির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস বা পিএইচডি ডিগ্রি ধারীদের অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। তবে নিয়োগের সময় এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না থাকায় গবেষণা বিভাগের বেশিরভাগ কর্মকর্তা এখন বঞ্চনার শিকার হবেন। নীতিমালায় গবেষণা বিভাগে সরাসরি ডিজিএম ও জিএম পর্যায়ে নিয়োগের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর তিনটি পদোন্নতি পেয়ে ডিজিএম ও চারটি পদোন্নতি পেয়ে জিএম হন।
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়নে অন্তত ৩ বছর সময় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গবেষণা বিভাগের কর্মকর্তারা।
চিঠিতে তারা বলেছেন, গবেষণা বিভাগে নিয়োগের সময় সব ধরনের শর্ত পূরণ করে তারা যোগদান করেছেন। ২০ থেকে ২৫ বছর চাকরির পর হঠাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতার নতুন শর্ত সংযোজন ন্যায়পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়। গবেষণার উৎকর্ষতার জন্য পিএইচডি বা এমএস ডিগ্রির গুরুত্বের আবশ্যকতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অন্তত ৩ বছর সময় প্রয়োজন। তাই আগামী বছরের ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তাবিত নীতিমালা কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
এসএই/