
মানুষের শৈশব যেখানে কাটে খেলাধুলায় সেখানে মাত্র ১৪ বছর বয়সে নারী অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই। মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করায় গত ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর তালেবান জঙ্গিরা স্কুলবাসে উঠে তাকে লক্ষ করে গুলি চালায়।
কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান মালালা। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে রীতিমতো সুস্থ হয়ে যান। আর তখন থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মান কুড়াচ্ছেন তিনি। এমনকি সাহস, দৃঢ়তা ও একাগ্রতার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘের শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা মালালার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে তার পুরস্কার পাওয়ার পূর্ন অবয়ব তুলে ধরেছে একটি কার্টুনচিত্রে। বিজ্ঞাপনে মালালাকে ‘বাউন্স ব্যাক’ হিসেবে উপস্থাপন করে সংস্থাটি। গত মে মাসে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডেইলি মেইল।
ডেইলি মেইল অবলম্বনে সেই চিত্র এবার পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করছে অর্থসূচক:

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে অনলাইনে ডায়েরি লিখে সবার দৃষ্টি কাড়েন এই কর্মী। ডায়েরিতে তিনি সোয়াত উপত্যকায় তালেবান জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনের অবস্থা এবং নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উল্লেখ, আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নরওয়ের অসলোয় শান্তিতে নোবেল জয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। শিশু ও তরুণদের ওপর নির্যাতন বন্ধে এবং সব শিশুর শিক্ষা অধিকার আদায়ে সংগ্রামের জন্য তাকে এ সম্মাননে ভূষিত করা হয়।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে মালালা ইউসুফজাইর মতো এত অল্প বয়সে আর কেউ এই পুরস্কার পাননি। ১৭ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই গত বছরও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি।
এস রহমান/