২৬ মে খুলনায় যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল  

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

২৬ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে খুলনা বিএনপি আয়োজিত ৭ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন করতে খুলনায় যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সারা দেশে খুন, গুম, অপহরন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা বিতর্কিত আদালতে স্থানান্তরের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত ৩ দিনের (১৮ হতে ২০ মে) বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৩ তম শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনসমূহের এক যৌথ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা থেকে বৈরি আবহাওয়া ও প্রচণ্ড খরতাপের কথা বিবেচনা করে ২৬ মে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে আলোচনা সভার স্থান পরিবর্তন করে শান্তিধাম মোড় সংলগ্ন জাতিসংঘ শিশু পার্কে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের শিশু সমাবেশ ও প্রতিযোগিতা নগরীর অফিসার্স ক্লাবের পরিবর্তে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, মহানগর বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, এড. গাজী আব্দুল বারী, কওসার জমাদ্দার, মোল্লা আবুল কাশেম, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাডভোকেট স ম বাবর আলী, এহতেশামুল হক শাওন প্রমুখ।

সভা থেকে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ১৮ মে জেলার ৯ উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। খুলনা মহানগরের দায়িত্বশীল শীর্ষ নেতারা কয়েকটি টিমে বিভক্ত হয়ে উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ও বক্তব্য রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভা থেকে ২০ মে মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ প্রতিবাদ সমাবেশ বিকেলে কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর সকল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করার মাধ্যমে আন্দোলনের দাবিসমূহ সম্পর্কে নগরবাসীকে সচেতন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সভা থেকে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর ৭ দিনের কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করতে ব্যাপক প্রস্ততি, গণসংযোগ, কর্মী সভা, পোস্টার সাটানো, লিফলেট বিতরন, মাইকিং, পথসভা সহ অন্যান্য বিভিন্ন পন্থায় ব্যাপক সংখ্যক জনগনকে এসব কর্মসুচিতে সম্পৃক্ত করতে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানানো হয়।