

জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের করা সুপারিশ বাস্তবায়ন না করা হলে পুনরায় কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে বলেও জানান সংগঠনের নেতারা শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বিভিন্ন দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসা ৭ দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানী উপদেষ্টা উচ্চ পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। পরে গত বছরের ৭ জুলাই জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পেট্রোবাংলাসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
পরে কমিটি এই দাবিগুলো বিশ্লেষণ করে শুপারিশের জন্য পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা প্রদান করে। তবে পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও শুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্যাস থেকে প্রতি ঘন মিটার সিএনজি রূপান্তরের জন্য আগে ১ টাকা ২৮ পয়সা খরচ হতো। এরপর এখন খরচ হচ্ছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। তবে সম্প্রতি ৭ শতাংশ বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এই খরচের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চার বছরে স্টেশন মালিকদের কমিশন না বাড়িয়ে দফায় দফায় সিএনজির মূল্য ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। একই সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে ৬৭ শতাংশ। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধি, বেতন ভাতা, ব্যাংক ঋণের হার বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, ৬ ঘন্টা গ্যাস রেশনিং ও ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ রেশনিংয়ের কারণে অধিকাংশ স্টেশনই লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারমানের নেতিবাচক মনোভাবের কারণেই এই দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
শুপারিশে উল্লেখ করা হয়, সিএনজি মালিকদের মার্জিন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক। এখন স্টেশন মালিকরা সব ব্যয় সমন্বয়ের পর প্রতি ঘন মিটার সিএনজি বিক্রয়ে মাত্র ১২ পয়সা মার্জিন পাচ্ছেন। তাই এই মার্জিন ১২ পয়সা থেকে ২ টাকা ৯৮ পয়সা নির্ধারণ করা যেতে পারে।এছাড়া ১৫ দিন পর পর সিএনজি স্টেশনের বিল প্রদানের ব্যাপারে শুপারিশ করা হয়।