

দিনাজপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার গড় পাশের হার ৯৩.২৬ ভাগ।
শনিবার দুপুর ১টায় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো.তোফাজ্জুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের নিকট ফলাফল হস্তান্তর করেন।
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ৮টি জেলার ২ হাজার ৫১০টি বিদ্যালয় থেকে ২২৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৮জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গড় পাশের হার ৯৩.২৬ ভাগ। ছাত্রদের পাশের হার ৯৩.১১ ও ছাত্রীদের পাশের হার ৯৩.৪২ ভাগ। জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৮২৭ জন শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞান বিভাগে ৪৬ হাজার ২৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৪ হাজার ৮০৩ জন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৯৩৩ জন। বিজ্ঞান বিভাগের গড় পাশের হার ৯৬.৮২ ভাগ। মানবিক বিভাগে ৬৪ হাজার ৫২০ জনের মধ্যে ৫৮ হাজার ৫৭৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৭৯ জন। মানবিক বিভাগে গড় পাশের হার ৯০.৭৯ ভাগ।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭ হাজার ৬৪৩ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৭৮ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭১৫ জন। এ বিভাগে গড় পাশের হার ৯২.৬১ ভাগ। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে গড় পাশের হার ৯৩.২৬ ভাগ।
এ সময় তোফাজ্জুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের তুলনায় এবার ফলাফল খুব ভালো হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিবিড় তত্তাবধান ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে। আগামিতে আরও ভালো ফলাফল উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
২০০৯ সালে ১ লাখ ২ হাজার ৬৫১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬৪ হাজার ৯১৩ জন এবং পাশের হার ছিল ৬৩.৫৮ ভাগ। ২০১০ সালে ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৪ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৮৩ হাজার ৯৭৭ জন উত্তীর্ণ হয়। পাশের হার ছিল ৭১.৭০ ভাগ। ২০১১ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৪৮ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৯৬ হাজার ৫৭৯ জন। ২০১২ সালে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৯ জন। পাশের হার ৮৭.১৬ ভাগ। ২০১৩ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৯৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৯১ হাজার ৮৬০ জন। পাশের হার ছিল ৯০. ৬০ ভাগ। ২০০৯ সালে শতভাগ পাশকৃত স্কুলের সংখ্যা ছিল ৩৪টি, ২০১০ সালে ৪৬টি, ২০১১ সালে ৪৮টি, ২০১২ সালে ২৩১টি, ২০১৩ সালে ৪৫৪টি এবং ২০১৪ সালে ৬৬১টিতে দাঁড়িয়েছে।
ফলাফল ঘোষণা করার সময় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের সচিব এম এ মজিদ, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) খ ম রফিকুল ইসলাম, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো.আরিফুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠার পর এ বোর্ডের অধীনে ষষ্ঠ বারের মতো এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেএফ