

মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ডুবে যাওয়া এমভি মিরাজ-৪ নামে লঞ্চটি তীরে তুলেছে উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত ৪৭ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
শনিবার সকাল পৌনে ৯টায় এ উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান সামছুল হুদা।
এদিকে, যতক্ষণ মৃতদেহ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস।
শনিবার সকালে বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
ওসি জানান, উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকবে। আশপাশের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় লাশের সন্ধানে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হবে। এখনও অর্ধশতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং নিখোঁজদের তালিকা তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
উদ্ধার হওয়া ৪৭ লাশের মধ্যে ৪২টি লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। শনাক্তকৃতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান গজারিয়া উপজেলার ইউএনও ড. এটিএম মাহাবুবুল করিম।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী শনাক্তকৃত প্রত্যেককেই ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর এলাকার মেঘনা নদীতে কালবৈশাখীর কবলে ডুবে যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি মিরাজ-৪। লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর যাচ্ছিল।
কেএফ