

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত র্যাবের দুই কর্মকর্তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চাঁদনী রূপমের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ আদালতে দুই র্যাব কর্মকর্তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
শনিবার ভোররাতে মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তাকে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তা হলেন- সাবেক কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ও মেজর আরিফ হোসেন। তৃতীয় জন নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা ও র্যাবের নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
জানা যায়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ থেকে দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাতে ক্যান্টনমেন্টে মিলিটারি পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর রাত তিনটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও মিলিটারি পুলিশের যৌথদল সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তার বাসায় অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোররাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠার পর ওই ৩ কর্মকর্তাকে অবসর দেওয়া হয়। গত ৬ মে সেনাবাহিনীর দু’জনকে অকালীন ও নৌবাহিনীর একজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। গত ১১ মে তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তদের ফৌজদারি আইনে গ্রেপ্তারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে এদের লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করে নজরুলের পরিবার।