

বন্ধ হওয়া খুলনা টেক্সটাইল মিলের জায়গায় আইটি ভিলেজ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আগামি বছরের ১৮ মে এ আইটি ভিলেজের উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার খুলনার সিটি ইন হোটেলে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে শান্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি লাভ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধমে ‘রূপকল্পঃ ২০২১’ বাস্তবায়ন হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি আমলে মোবাইল সেবা একটি মাত্র কোম্পানীর হাতে ছিল। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে মোবাইল ফোনের বিস্তৃতি ঘটায়। বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যার শতকরা হার অনেক দেশের থেকে বেশি বলে জানান তিনি।
আরও বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল জলিল। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবুবকর সিদ্দিক।
এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য Broadband for Sustainable Development বা টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্রডব্যান্ড।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. পল্লব কুমার চৌধুরী এবং উপস্থাপিত নিবন্ধের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস ।
দিবসটির উপলক্ষে খুলনার শিববাড়ী মোড় থেকে ক্যাবল শিল্প লিমিটেড পর্যন্ত একটি মনোজ্ঞ রোড শো ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়-এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান-বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, বিএসসিসিএল, বাকেশি, মোবাইল অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খুলনায় দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, মোবাইল অপারেটর ও টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী খুলনা ক্যাবল শিল্প সংস্থা লিমিটেড পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ১৮৬৫ সালের ১৭ মে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ সম্মেলন অনুষ্ঠানের নিদর্শনস্বরূপ ১৯৬৯ সালের ১৭ মে থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে নভেম্বর, ২০০৬ -এ অনুষ্ঠিত ওঞট সম্মেলনে ১৭মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।