

ডুবে যাওয়ার তিন দিন পর অবশেষে পানির ওপর ভাসানো হলো এমভি মিরাজ-৪। তবে এখনো পর্যন্ত এর ভেতরে কোনো লাশ আছে কিনা জানা যায়নি।
লঞ্চ ডুবির পর থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ও নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় শনিবার দুপুরে এমভি মিরাজকে পানির ওপর ভাসানো গেছে।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে আরও ২২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্ধারকৃত লাশের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৪ জনে।
শনিবার বেলা ২টা পর্যন্ত এই ২২টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে তীরের কাছে আনার পর ‘বিআইডব্লিউটিএ’ উদ্ধার কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করলে স্বজনদের আপত্তিতে আবারও তা শুরু হয়েছে।
লঞ্চ ডুবে মারা যাওয়া ৮ থেকে ৯ টি পেটফাঁড়া লাশ তোলা হয়েছে। তখন থেকেই কথা উঠেছিল এসব লাশের পেট ফাঁড়লো কে? কেন? নাকি লাশ গুমে চেষ্টা চালানো হচ্ছে ,ফের অযথা সময় ব্যয় করে এক এক অযুহাতে লঞ্চ উদ্ধার কার্যক্রম গড়ালো গভীরাত পর্যন্ত , শনিবার সকালে উদ্ধার কাজের সমাপ্ত ঘোষণা করেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ড. মো. শামসুজোহা খন্দকার। তখন মাত্র ৪৫ টা লাশ উদ্ধার হয়েছে স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী তখনও প্রায় ১০০ লাশ নিখোঁজ ।
নিহতের স্বজনরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে বাধ্য হয়ে মুন্সীগঞ্জের ডিসি সাইফুল হাসান বাদল নিজে লঞ্চের ভেতরে গিয়ে আরও তিনটি লাশ দেখতে পান। এরপর লঞ্চ থেকে বের হয়ে উদ্ধার কাজ ফের চালু করার নির্দেশ দেন।
তবে মেঘনার তীরে লাশের আশায় অপেক্ষমাণ অর্ধশতাধিক মানুষের দাবি, তাদের স্বজনদের লাশ প্রশাসন গুম করেছে। কারণ, এখানে লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যে জাহাজ আনা হয়েছে তা অনেক শক্তিশালী। ইচ্ছাকৃতভাবে এ উদ্ধার অভিযানে তিনদিন লাগানো হয়েছে। তারপরও আমাদের স্বজনদের লাশ দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের দাবি, এমভি মিরাজ-৪ নামক লঞ্চটিতে তিনশরও বেশি যাত্রী থাকলেও প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, এক থেকে দেড়শযাত্রী ছিলেন।
সাকি/