

ভারতের ১৬ তম নির্বাচনের ভোট গণনার দু’ ঘণ্টা পর যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লির মসনদে বিজেপির আসীন হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে ভোট গণনার প্রথম দু’ ঘণ্টার যা ফল, তাতে দিল্লিতে এনডিএ সরকারের অভিষেক হওয়া অবশ্যম্ভাবী। প্রথম দফার গণনায় মোট ২৮৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ, ৭১টি আসনে এগিয়ে ইউপিএ, বামেরা এগিয়ে ৬টি আসনে এবং অন্যান্যরা ১২৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মোদী ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড কংগ্রেস শিবিরের স্বয়ং সেনাপতির নৌকোই প্রায় ডুবুডুবু। আমেথিতে অল্প ভোটে প্রাথমিক ভাবে পিছিয়ে পড়লেও আবারও এগিয়ে রয়েছে রাহুল গান্ধী। তবে তার বিজয় নিশ্চিত নয় এখনও।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির আধিপত্য বজায় থাকলেও বিজেপির হঠাৎ অভ্যুথান যথেষ্টই বিড়ম্বনায় ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। প্রথম ২ ঘণ্টার গণনার পর তিনটি আসনে এগিয়ে থাকেন বিজেপি প্রার্থীরা। তবে পরে তা কমে দুইয়ে নামে। দার্জিলিংয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের বাইচুং ভুটিয়ার থেকে প্রায় ১০,৭০০ ভোটে এগিয়ে যান। আসানসোলে ১৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে থাকেন বাবুল সুপ্রিয়। দু’ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩২টি আসনে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস প্রত্যেক দলই তিনটি করে আসনে এগিয়ে রয়েছে।
বিজেপির সাফল্য নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। বাম ও কংগ্রেসকে টপকে তৃণমূল প্রার্থীদের মাথাব্যথার কার ভোট প্রচারের শেষ দফায় নরেন্দ্র মোদীর ঘন ঘন রাজ্যে আগমন এবং মমতা ব্যানার্জি সরকার ও তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণই এর কারণ কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।