খণ্ডকালীন দুই চেয়ারম্যানের কার্যক্রম তদন্ত করবে আইডিআরএ

  • তপু রায়হান
  • May 16, 2014
  • Comments Off on খণ্ডকালীন দুই চেয়ারম্যানের কার্যক্রম তদন্ত করবে আইডিআরএ
আইডিআরএ
আইডিআরএ
খণ্ডকালীন দুই চেয়ারম্যানের গৃহীত কার্যক্রম তদন্ত করবে আইডিআরএ

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) খণ্ডকালীন দুই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালীন কার্যক্রম ও পর্যবেক্ষণ তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। সদ্য নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ তাদের গৃহীত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ৬৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আইডিআরএ গঠিত হওয়ার পর তিন বছরের জন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এম শেফাক আহমেদকে।

তার মেয়াদ শেষ হলে ২৭ জানুয়ারি থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে চলে সংস্থাটি।
আলোচ্য সময়ে লাইফ ও নন-লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেসব বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কমিটির সদস্য মো. কুদ্দুস খানকে অতিসত্বর চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারি আইডিআরএর বর্তমান চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। ফলে ২৭ জানুয়ারি থেকে তিনি এ পদে ছিলেন না। পরবর্তী সময়ে আইডিআরএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে সদস্য মো. ফজলুল করিম দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. কুদ্দুস খান।

পরে এম শেফাক আহমেদ আইডিআরএর চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েই তার অনুপস্থিত সময়ের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে সংস্থাটির সদস্য সুলতান উল আবেদিন মোল্লাহ অর্থসূচককে বলেন, আসলে বিষয়টি হলো- ওই সময়ে যে কাজগুলো হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলেছেন চেয়ারম্যান। তবে এর জন্য নির্ধারিত কোনো সময় বেঁধে দেননি তিনি।

জানা গেছে, উন্নত বিশ্বে বিমা এক নতুন মাত্রায় উন্নীত খাত। বাংলাদেশেও বিমা খাতকে উন্নত বিশ্বের মতো করার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আইডিআরএ। যাতে করে আগামি দিনে বিমা খাত জাতীয় অর্থনীতির একটি বলিষ্ঠভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারে। অর্থনীতির উন্নতির জন্যই এই খাতকে তার নির্ধারিত ভূমিকা পালনে প্রস্তুত করতে চায়। এই খাতের জন্য দরকার এখন প্রশিক্ষিত জনবল।
বিমা খাতের অনেক দুর্গতির জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের অভাবও অন্যতম কারণ। অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় এই খাত বেশি বিশেষায়িত। এজন্য ইনস্যুরেন্স অ্যাকাডেমি কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আইডিআরএ সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ বলেন, বিমা শিল্পে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এ শিল্পের স্বার্থেই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে এ শিল্প রুগ্ণ হয়ে যাবে, এটির সুফল সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিমা শিল্পের অসুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য অপ্রশিক্ষিত জনবল দায়ী। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষিত জনবল ছাড়া কোনো শিল্প সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি।

জানা গেছে, এর বাইরেও ওই বৈঠকে বিমা আইন ২০১০ ও বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন অনুসারে বিধি ও প্রবিধান জারি করতে সদস্যরা খসড়া বিধি ও প্রবিধানসমূহ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করার জন্য বলা হয়েছে। পর্যালোচনা করে পরামর্শ ও প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষের সভায় দ্রুত উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিধি-প্রবিধান প্রণয়নেরও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লাইফ ও নন-লাইফ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্টেক হোল্ডার সঙ্গে মতবিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিআরএ।

অন্যদিকে, এ বিষয়ে দুটি কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নন-লাইফ কমিটির আহ্বায়ক জুবের আহমেদ খান এবং লাইফ ফান্ডের আহ্বায়ক সুলতান উল আবেদিন মোল্লাকে মনোনীত করা হয়েছে। বাজেট নিরীক্ষা এবং বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই সভায়।

জিইউ/এআর