

বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয় না। পর্যাপ্ত বাজেটের অভাবেই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যয় বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি আয়োজিত ‘অবহেলিত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশিউর রহমান বলেন, চালিকাশক্তির আসনে থাকা কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতারা যদি উন্নয়ন প্রকল্পের গুরুত্ব না বুঝতে পারে তাহলে টেকনোক্রেট বা সচিব দিয়ে সুফল পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আগে খুলনা অঞ্চলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল পাট শিল্প। কিন্তু পাটশিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন না হওয়া এবং এই খাতে যথেষ্ট বিনিয়োগ না করার কারণেই দিন দিন শিল্পটি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
মশিউর রহমান বলেন, পুরোনো দুর্বল শিল্পকে নতুন করে চাঙ্গা করাটা হবে আমাদের বড় ধরনের ভুল। কারণ যুগোপযোগী শিল্পে বিনিয়োগ না করলে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। বর্তমানে আইসিটি এবং বস্ত্রখাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। আমরা মনে করি এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।
কৃষি সম্পর্কে তিনি বলেন, মাটি ও পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় খুলনা অঞ্চলে ধান উৎপাদন কমে গেছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্য চাষ জনপ্রিয় হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ধানের চেয়ে মৎস্য চাষের উৎপাদনশীলতা বাড়ছে।
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম. মুস্তাফা সুজা বলেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য প্রথমেই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হয়। তাই নৌ, সড়ক এবং আকাশ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রয়োজন। এর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, খুলনার উন্নয়নে একটি প্রধান অন্তরায় হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ। জমি সঠিকভাবে অধিগ্রহণ না করে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এতে কাজ শুরুর সময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে প্রকল্পের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হয়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা প্রমুখ।
জেইউ/এ এস