

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির আইপিও’র শেয়ারের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় আর বাড়ছে না। ইতোমধ্যে আইপিওতে প্রস্তাবিত শেয়ারের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন জমা পড়ায় সময় বাড়ানোর প্রয়োজন মনে করছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এছাড়া সময় বাড়ালে নতুন বিতর্ক জড়ানোর আংশকাও আছে বলেও মনে করছে বিএসইসি। তাই অনানুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিকে সময় না বাড়ানোর বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের আইপিও’র চাঁদা জমা চলাকালে চতুর্থ দিনে জনৈক বিনিয়োগকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে আদালত চাঁদা জমা নেওয়াসহ কোম্পানির আইপিও প্রক্রিয়া দুইদিন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। পরদিন কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার জজ আগের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার আবেদন করার সুযোগ থাকলেও দু’পক্ষের আইনী লড়াইয়ে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ তৈরি হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী আবেদন করতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার আইপিওর আবেদন ও চাঁদা জমা দেওয়ার সময় বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করে। জানা গেছে, তখন বিএসইসি থেকে কোম্পানিকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অনুরোধ জানানো হলেই কেবল সময় বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখবে তারা। কিন্তু রোববার কমিশন এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সময় না বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। কাল-পরশু বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে কোম্পানিটিও এখন আর সময় বাড়ানোর বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নয় বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যেসব বিনিয়োগকারী আবেদন করতে পারেনি তাদেরকে একটু সুযোগ করে দিতে। তবে ইতোমধ্যে সাবসক্রিপশন হয়ে যাওয়ায় আমরাও নতুন করে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। তাই বিএসইসিকে আর কোনো অনুরোধ জানাবো না আমরা।