

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এর জন্য সরকারকে কঠিন খেসারত দিতে হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন ঈসা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সেইফ নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’ এর উদ্যোগে সুন্দরবন বিধ্বংসী কয়লা তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঞ্জুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য নানামুখী চক্রান্ত চলছে। সীমান্তে নিরীহ মানুষকে পাখির মত হত্যা করছে বিএসএফ। এর কোনো প্রতিবাদ না করে উল্টো ভারতকে ট্রানজিট-করিডর দিচ্ছে এই সরকার।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা পুড়িয়ে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন ফ্ল্যাইএ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম এ্যাশ উৎপাদিত হবে। এর প্রভাবে গোটা পরিবেশ ও প্রকৃতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে।
তারা বলেন, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন করা হলে নির্গত পানির তাপমাত্রা, পানি নির্গমনের গতি, পানিতে দ্রবীভূত নানান উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় পানি দূষণ ঘটাবে। এতে সুন্দরবন এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।
বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নাই। সুন্দরবন হারালে আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই একে রক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। সুন্দরবনকে ধ্বংস না করে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মিথুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ-সম্পাদক শেখ খায়রুল হক শাওন, সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, আমিনুর রহমান আমিন, কামাল হোসেন, আকিজুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।
জেইউ