জবিতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্তে নাটক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জবি ক্যাম্পাস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের নের্তৃত্বে ২৫ সাংবাদিক লাঞ্ছিতর ঘটনায় গঠিত তদন্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নাটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তার পক্ষের কর্মীরা প্রক্টর অফিস ও উপাচার্যের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ওপর দুই দফা হামলা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ-সম্পাদক সুজাউল ইসলাম বাবু, দপ্তর-সম্পাদক মাহাবুব মোমতাজি ও বাংলানিউজের ইমরান হোসেনসহ ২৫ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা আন্দোলনের কর্মসূচি দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জরুরি ভিত্তিতে তার সভাকক্ষে সাংবাদিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।

সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন ভিসি। ওই দিনেই বিশ্ববিদ্যায়ের জনসংযোগ অফিসের উপ-পরিচালক সৈয়দ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড.কামরুল আলমের সাথে দেখা করলে তিনি কোনো চিঠি পাননি বলে জানান। পরে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ-সম্পাদক সুজাউল ইসলাম বাবু ও কোষাধ্যক্ষ হাসান মাহমুদসহ কয়েকজন সাংবাদিক রেজিস্ট্রার ওহিদুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে চিঠি না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চান।

এ সময় রেজিস্টার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, উপাচার্য আমাকে বলেছেন সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রলীগের সমঝোতা হওয়ায় তদন্তের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই ওই তদন্ত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ-সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক আমাকে জানিয়েছিল আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এ কারণে তদন্ত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়নি।

এদিকে সাংবাদিক সমিতির সধারণ-সম্পাদক সুজাউল ইসলাম সমঝোতার কথা অস্বীকার করে বলেন, ভিসি স্যারের তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের আশ্বাসে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। অথচ এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটির সদস্যদের চিঠি দেওয়া হয়নি। এ কারণে আমরা আগামি রোববার সাধারণ সভা করে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

এমআই/সাকি