
বুকভরা স্বপ্ন আর আশা নিয়ে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম করে ব্যাংকের সুনাম বৃদ্ধিতে কাজ করে আসছি। সে সাথে নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশায় অপেক্ষা করছি। এতে ব্যাংকের সুনাম বৃদ্ধি হলেও আমাদের সাথে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেন প্রতারিত ব্যক্তিরা।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ডাচবাংলা ব্যাংকের প্রতারিত সকল এসিট্যান্ট রিলেশন অফিসার কর্মচারীবৃন্দ’ আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
বক্তারা বলেন, রোদে, ঝড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে সারা দেশে আমরা ডাচবাংলা ব্যাংকের সাফল্য তুলে ধরেছি। কিন্তু আজকে তারা আমাদেরকে ব্যবহারের পর ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২ বছর পর ট্রেইনি অফিসার হিসেবে চাকরিতে স্থায়ী করার কথা থাকলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধার জন্য জুনিয়র ও ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার নামে দুটি নতুন পদ সৃষ্টি করে। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল না।
আমাদের চাকরি থেকে বিতারিত করার লক্ষে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিয়ম-কানুন তৈরি করে আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তারা জানান, বেতনের জন্য ১ জানুয়ারি ২০১৩ সালে একাউন্টে ১০০০ টাকা এবং ১ অক্টবর ২০১২ সালে ৫০০ টাকা ব্যধ্যতামূলক ব্যালেন্স থাকতে হবে। যা নিয়োগপত্রে উল্লেখ ছিল না বলে জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, নিয়োগপত্র অনুযায়ী চাকরি স্থায়ী করতে হবে। জুনিয়র ও ট্রেইনি অফিসার এই পদ দুটি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং এসিস্ট্যান্ট রিলেশনশিপ অফিসারদের বেতন বাৎসরিক শতকরা ২০ ভাগ বৃদ্ধি করতে হবে।
আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তবে আমরা ভবিষ্যতে আমরণ-অনশনসহ কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবো বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে কামরুল হাসান এলিনের সভাপতিত্ত্বে সারা দেশ থেকে আগত সকল প্রতারিত ব্যাংক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসএস/জেইউ