
দেশের রপ্তানি খাতে অসামান্য অবদানের রাখার জন্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান হংকং সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)। রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে পঞ্চমবারের মতো এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এইচএসবিসি জানিয়েছে, এবার মোট পাঁচটি বিভাগে ‘এক্সপোর্ট এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ নামের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিভাগগুলো হলো : তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক বিভাগ (গ্রুপ এ ও বি), ইপিজেড উদ্যোক্তা বিভাগ, সাধারণ ও উদীয়মান উদ্যোক্তা বিভাগ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিভাগ।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী আন্ড্রু তিলকে বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যাতে তারা বিশ্ব বাজারে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫০ বছর ধরে এইচএসবিসি বিশ্ব বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং আমরা জানি কিভাবে মেলবন্ধন তৈরি করতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তৈরি পোশাক খাতে যেসব প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি মার্কিন ডলার কিংবা তার বেশি পণ্য রপ্তানি করে সে সব প্রতিষ্ঠান গ্রুপ এ এবং যে সব প্রতিষ্ঠান ৫ কোটি মার্কিন ডলারের কম পণ্য রপ্তানি করে সে সব প্রতিষ্ঠান গ্রুপ বি এর অন্তর্ভূক্ত বলে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলো ইপিজেড উদ্যোক্তা বিভাগের জন্য বিবেচিত হবেন। এছাড়া তৈরি পোশাক খাত বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক রপ্তানির পরিমাণ ৫০ লাখ মার্কিন ডলার বা তার বেশি হলে সাধারণ ও উদীয়মান উদ্যোগ বিভাগের জন্য এবং রপ্তানি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের কম হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বিভাগের জন্য বিবেচিত হবে।
এইচএসবিসি আরও জানিয়েছে, নিরপেক্ষ বিচারকদের রায়ে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে। এই ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রার্থীদের অবদান বিবেচনার পাশাপাশি বৈচিত্র্য, দায়িত্বশীলতা, টেকসই অর্জন এবং প্রশাসনিক দক্ষতাও বিবেচনা করা হবে। তবে, এইচএসবিসির সাথে সংশ্লিষ্টতা অংশগ্রহণের অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে ২০১০ সালে থেকে এক্সপোর্ট এক্সেলেন্স পুরস্কার প্রদান করে আসছে এইচএসবিসি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাহবুব-উর-রহমান বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন রপ্তানিকারকরা। তাই বাংলাদেশের অর্জনকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। এর মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি বাড়বে।
এইচএসবিসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রার্থীতা দাখিলের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ফর্ম পাওয়া যাবে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রার্থীতার আবেদনের পাশাপাশি যে কোন বিভাগে অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।