
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কালবৈশাখীর ঝড়ে দুটি পোল্ট্রি খামারের অন্তত দেড় সহস্রাধিক মুরগির প্রাণহানি ঘটে। এতে খামার মালিকদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরচারতলা ইউনিয়নের চরচারতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপির সভাপতি হাজী মো. সামাদ আলীর চরচারতলা নিজ গ্রামের মুরগির একটি খামারে ও একই গ্রামের মো. ছিদ্দিক মিয়ার খামারে প্রায় সহস্রাধীক মুরগি মরে যায়। এতে তাদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে খামার মালিক উপজেলা জাতীয় পার্টি জেপির সভাপতি হাজী মো. সামাদ আলী জানান, শনিবারের ঝড়ে তার খামারটি বিধ্বস্ত হয়ে সহস্রাধীক মুরগি মারা যায়। এতে অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ছিদ্দিক মিয়া জানান, ধার-দেনা করে এবং বাকীতে মুরগির বাচ্চা, খাবার, ঔষধসহ যাবতীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে খুব কষ্ট করে খামারের মুরগির বাচ্চাগুলো বড় করা হয়েছিল। আগামি সপ্তাহে মুরগিগুলো বিক্রি করার কথা ছিল। এখন সরকারের সহযোগিতা না পেলে এই পোল্ট্রি ব্যবসা পুনরায় দাঁড় করানো সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে দুটি খামারের অধিকাংশ মুরগি মরে গেছে। এতে দুই খামার মালিকই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।