স্ত্রীসহ সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর এপিএসকে দুদকে তলব

দুদক

ACCসাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়ার এপিএস শৌমেন্দ চন্দ্র শৈলেন ও তার স্ত্রী শান্তা চন্দ্রকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মাধ্যমে ভারতে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কমিশনের উপ-পরিচালক আহসান আলী তাদেরকে এ নোটিশ পাঠান বলে নিশ্চিত করে দুদক সুত্র।

দুদক সুত্র জানায়, বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভারতে অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে আগামী ১৫ এপ্রিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য তলব করে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুত্রটি জানায়, শৈলেন ভারতে অর্থ পাচার করে তার দুই ভাই ও বোনকে বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক বানিয়েছেন। কিন্তু শৈলেন মন্ত্রীর এপিএস হওয়ার পূর্বে তার দুই ভাই কলকাতার চার দোকানে কাজ করতো বলে জানা গেছে। বর্তমানে শৈলানের দুই ভাই ও বোন কলকাতায় বিশাল বাড়ি ও ব্যবসা গড়ে তুলেছেন তার পাচাঁর করা টাকায়। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে শৈলান পটুয়াখালি ও ঢাকায় গাড়ী বাড়িসহ নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসবের মধ্যে শৈলানের ভাই রবিন চন্দ্র ৪ নং সন্তোষ রায় রোড, শাখের বাজার কলকাতায় আরেক আরেক ভাই শচীন চন্দ্রকে ১৫৪ হাসপুকুর গ্রীণপার্ক জকা ২৪ পরগণায় এবং তার বোন নমিতা চন্দ স্বামী কিসেন্দ্র মিত্রকে ২১/৩ রাম গোপাল পাল মিত্র রোড, কলকাতায় বাড়ি করে দিয়েছেন। আর এসব বিষয়ের সঠিক তথ্য বের করার  স্বার্থে তার দুই ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানান সুত্রটি।

এছাড়া এপিএস শৈলেনের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, পটুয়াখালীতে পাঁচতলার একটি বাড়িসহ রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট এবং অর্থপাচার ও ৫০৪টি হজ্ব এজেন্সির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

এর আগে একই অভিযোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্তু দুদকের এই উপ-পরিচালক শৈলেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন

এইউ নয়ন