
দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্ব বাজারে। বর্তমানে বিশ্বের ৯০টি দেশে প্রায় এক হাজার রকমের ওষুধ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। আর এ শিল্প থেকে বছরে আয় হচ্ছে প্রায় পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার। উন্নত প্রযুক্তির কারণে একই সাথে মান ও পরিমাণ দুটোই বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যতম রপ্তানিমুখী শিল্পটির রপ্তানি সম্ভাবনা দিন দিন বাড়ছে।
এই ধারাবাহিকতায় ভিয়েতনামেও বাড়ছে রপ্তানির সুযোগ।বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই নগুয়েন কোয়াং থা এমন কথাই জানালেন।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে নোয়াব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত ‘ডেভেলপম্যান্ট পার্টনারশীপ বুস্টিন বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড ভিয়েতনাম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নগুয়েন কোয়াং থা বলেন, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম দুই দেশের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য ভিয়েতনামে সহজে রপ্তানি করা যাচ্ছে।
এর মধ্যে বর্তমানে তাদের দেশে বাংলাদেশের ওষুধের চাহিদা ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের ওষুধের অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে ওষুধ রপ্তানিতে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় করে বাংলাদেশ। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এ খাতে আয় বেড়ে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ২০১১-১২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় করে বাংলাদেশ।আর ২০১২-১৩ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি হয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
এদিকে বাংলাদেশের অনেক পরে ভিয়েতনাম স্বাধীনতা লাভ করলেও বাংলাদেশের চেয়ে কম সময়ে ভিয়েতনাম অনেক উন্নত হয়েছে, কিভাবে তা সম্ভব হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই কৃষিভিত্তিক দেশ হলেও ভালো পররাষ্ট্রনীতি ও সুষ্ঠু গণতন্ত্রের কারণেই ভিয়েতনাম কম সময়ে ভালো অবস্থানে পৌঁছেছে।
নোয়াব সলিমুল্লাহ একাডেমির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, আমাদের দেশের মালিকাধীন কোম্পানিগুলো অন্য দেশে তাদের পণ্যগুলো এক্সপোর্ট না করে ভিয়েতনামে এক্সপোর্ট করলে বেশি লাভবান হবে।
তার মতে, বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা আর বিশ্ববাজারের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ওষুধ রপ্তানিতে এশিয়ার শীর্ষে উঠে আসবে বাংলাদেশ।
তিনি মনে করেন একটু সরকারি সহায়তা পেলে ওষুধ রপ্তানিতে এশিয়ায় আমাদের প্রধান প্রতিদন্দ্বী ভারতকে ছাড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।
সংঘঠনের সভাপতি আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিপলস ইউনিভার্সিটির পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সমাজকর্মী আ.সবুর শেখ, মঞ্জুর হোসেন ঈসা প্রমুখ।