
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রলীগ সভাপতি আজমীরা বিনতে জামান ও সাধারণ সম্পাদক লিসা চাম্বু গংকে হল থেকে বের করে দিয়েছে হল প্রশাসন। আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কুয়েত-মৈত্রী হল সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে যায় হলের ছাত্রীরা। সেখানে অনেক ছাত্রী ইভটিজিং এবং যৌন হয়রানির শিকার হয় বলে অভিযোগ উঠে। পরে হলের শিক্ষার্থীরা ওইদিন রাত ১১টার দিকে হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। ফলে ওইদিন রাত ১২টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রী ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাথে সাক্ষাত করেন। হল থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রীদের মধ্য থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগের ব্যানার ছিড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে মারধর করেন আজমীরা ও ছাত্রলীগের নেত্রীরা। হল প্রাধ্যক্ষের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ সময় ছাত্রীদের তোপের মুখে আজমীরা ও লিসাকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
কেএফ