আবারো রাজপথে বিনিয়োগকারীরা

DSE-Andolon

DSE-Andolonতিন বছর পর আবারো রাজপথে নেমেছে বিনিয়োগকারীরা। বাজারে টানা ১০১ কার্যদিবস পর গতকাল ছিল সর্বনিম্ন লেনদেন। বেলা ২ টা পর্যন্ত ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৭১ পয়েন্টে। এই সময়ে আজকে সোমবার  ডিএসই প্রধান সূচক ৪৮ পয়েন্ট কমে যায়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্ষোভ আরো তীব্র হওয়ায় তারা রাজপথে নামে।

এ প্রসঙ্গে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান অর্থসূচককে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং আইসিবির উদাসীনতার কারণে বাজারে টানা দরপতন হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য ১০৯ কোটি টাকা দিয়েছে আইসিবির কাছে। এ টাকা আমাদের আন্দোলনের ফসল। কিন্তু আইসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করেছে। তাই ফায়েকুজ্জামানকে তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানান তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে আইএমএফের দালাল বলেও আখ্যায়িত করেন তারা।

বিক্ষোভের সময় বিনিয়োগকারীরা  অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ বাংকের গভর্ণর এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্লোগান দেয়।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রজ্ঞাপন জারি করছে তা উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের  সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। ২০১০ সালে ধ্বসের সময় যারা বাজার থেকে টাকা লুট করেছে তাদের দ্রত বিচারের আওতায় আনা হোক। একই সাথে লুটের টাকা বাজারে ফেরত আনার দাবিও করেন তারা।

এছাড়া বাজারকে গতিশীল করতে বিএসইসি’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিনিয়োগকারীরা। মিছিলের পরে ডিএসইর সামনে মানববন্ধন করেন পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাধারন সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক, সহ সভাপতি গোলাপ হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক হারুন।

উল্লেখ্য ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধ্বস নামে। সেই ধ্বসে বিনিয়োগকারীরা আজও সর্বশান্ত হয়ে আছে। তখনও ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি ডিএসই’র  সূচক ছিল ৪৫৬৮ পয়েন্টে।

পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে সৃষ্ট ধ্বসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ডএক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) (তৎকালীন এসইসি) টু সিসি’ চালু করে। টুসিসি’র এখতিয়ার বলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ এবং স্পন্সরদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা জারি করে।

অপরদিকে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)র ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরন হয় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এরপর নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব নেয় ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের।

এরপরও পুঁজিবাজারে একের পর এক সূচক ও লেনদেন নামতে থাকে। আজ ডিএসই’র সূচক সাড়ে চার হাজারের নিচে নেমে গেছে। আজ বেলা ২ টা পর্যন্ত ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক অবস্থান করছে ৪ হাজার ৪৭১ পয়েন্টে।

অর্থসূচক/এসএ/এমআরবি/