
যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১৩ লাখ মানুষ মারা যায় বলে জানালেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণসহ বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতারা।
এছাড়া বর্তমানে সারাবিশ্বে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় ভুগছে। বাংলাদেশে এ রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ২’শ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭৬১ জন বলেও জানালেন তারা।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং ব্র্যাকসহ ৪৩টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের উদ্যোগে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম কনসালটেন্ট ডা. মজিবর রহমান। প্রবন্ধে বিশ্বের ২০১২ সালের যক্ষ্মার সার্বিক পরিস্থিতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর শতকরা ৮০ ভাগ বাস করে ২২টি দেশে। এর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বাস করে।
বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সচেতনতাই প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করে। সচেতনতার অভাবে অনেকেই চিকিৎসা নিতে আসেন না। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা ব্যবস্থা হওয়ায় অনেক সময়ে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন না। যক্ষ্মা চিকিৎসা বিস্তৃত না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অসচেতনতা আর দারিদ্রতা।
তারা বলেন, যক্ষ্মা চিকিৎসায় বাংলাদেশে অনেক বড় মাপের চিকিৎসক রয়েছেন। তবু ডট সেন্টারের মাধ্যমে রোগীদের প্রায় শতভাগ ভালো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, নিয়মিত ওষুধ সেবন না করার কারণে রোগীরা যক্ষ্মায় মারাত্বকভাবে আক্রান্ত হয়। অবশেষে অপারেশন করা ছাড়া আর বিকল্প থাকে না।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ড. আশেক হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ড. আকরামুল ইসলাম, জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুস শাকুর খান, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেকেন্ডারি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
জেইউ/এএস