
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দারোরা এলাকায় ১০ বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সে দারোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২ মার্চ দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। এ সময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী গণি মিয়ার ছেলে আবুল কাশেমের (৫০) দোকানে চানাচুর কিনতে গেলে কৌশলে দোকান বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখায় সে।
পরে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশের মাধ্যমে আবুল কাশেমকে জুতা পেটা এবং সামান্য অর্থদণ্ড করে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
অপরদিকে বুধবার ধর্ষিতার পরিবারের সদস্য চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছালেহ আহাম্মেদের কার্যালয়ে এসে ঘটনাটি জানিয়ে সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছালেহ্ আহাম্মদ অর্থসূচক ডটকমকে জানান, ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এসএমসি সভাপতিসহ সকলকে ডাকা হয়েছে। তাদের সাথে আলোচনা করে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কেএফ