ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ। ডিএসইর সব ধরণের মূল্য সূচকও কমেছে গত সপ্তাহে। আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৮২১কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৪২৬ টাকার।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত সপ্তাহে ১৫ কোম্পানির লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে । এর মধ্যে ব্যাংক ও কোম্পানি গুলো ভালো মুনাফাও করেছে। তারপরেও বাজারে বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বিনিয়াগকারীদের আস্থাহীনতার কারণেই কম মূল্যেই শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সার্বিক বাজারে একটা প্রভাব পড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৩০ কোটি ৮৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৫১ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭ টাকা।
এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন ছিল ৮৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ‘বি’ ক্যটাগরির লেনদেন ছিল ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির লেনদেন ছিল ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ডিএসই প্রধান সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে এক দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৭৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে এই সূচক ৪ হাজার ৬৯৯ পয়েন্ট থেকে নেমে ৪ হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করে।
গত সপ্তাহে ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ বা ৩৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম দিনে এই সূচকের অবস্থান ছিল ১ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই সূচক অবস্থান করে ১ হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে।
অপরদিকে শরীয়াহ সূচক কমেছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ২৪ দশমিক ৬২ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম দিনে এই সূচকের অবস্থান ছিল এক হাজার ১৪ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের শেষে এই সূচক দাঁড়ায় ৯৮৯ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টির কমেছে ২২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির। আর লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির।
অর্থসূচক/এমআরবি/