
বাংলাদেশকে তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে উৎসে কর কমানোর দাবি জানিয়েছেন খাতটির ব্যবসায়ীরা। তারা এ খাতটিতে বর্তমানের দশমিক ৮ শতাংশ উৎসে কর কমিয়ে দশমিক ৩ শতাংশ করার দাবি জানান। এ ছাড়া খাতটিতে আর্থিক প্রণোদনা বৃদ্ধিরও দাবিও জানান। ব্যবসায়ীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নগদ সহায়তা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ করার আশ্বাস দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
চট্টগ্রাম নগরীর এমএমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে ‘চিটাগাং অ্যাপারেল, ফেব্রিক্স এন্ড এক্সেসরিজ এক্সপজিশন (কাফেক্সপো) ২০১৪‘ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী এমন আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ২২ বিলিয়ন ডলার আসে তৈরী পোশাক শিল্প রপ্তানি থেকে। ২০১৫ সালের মধ্যের মধ্যে এ শিল্প থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে । আর এ লক্ষ্য পূরণের জন্য রপ্তানিতে দশমিক ২ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর বাজারের উপর আমরা নির্ভরশীল থাকবো না। পোশাক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমারা ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে কাজ শুরু করেছি।
জিএসপি সুবিধা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে শর্ত বেধে দেওয়া হয়েছিল তা আমরা ৩১ মার্চের মধ্যে পূরণ করে আগামি ১৫ এপ্রিল জমা দিব। তবে জিএসপি সুবিধা না থাকলেও গত তিন মাসে এ শিল্প রপ্তানিতে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি রপ্তানি করা হয়েছে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে তৈরী পোশাক শিল্প যে কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে তাতে সরকার যদি এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয় তা হলে সোনালী আঁশ খ্যাত পাট শিল্পের মতো এ শিল্পকেও রক্ষা করা যাবে না।
তাছাড়া আগামি পাঁচ বছরের মধ্যে শেয়ার বিল্ডিং থেকে গার্মেন্টস শিল্প সরে না আসলে কোন বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে আসবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে গার্মেন্টস পল্লী তৈরির জন্য চট্টগাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক অবস্থানে আছে উল্লেখ করে ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যেহেতু রপ্তানি আমদানির সিংগভাগ করা হয় তাই এখানে গার্মেন্টস পল্লী গড়ে উঠলে পরিবহন খরচ ও সময় দুই কম লাগবে। সেজন্য সরকারি যে খাস জমি আপনারা দাবি করছেন তা সরকার বিবেচনা করে তা খুব দ্রুত নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান ভূমি মন্ত্রী।
১২তম বারের মতো আয়োজিত এবারের কাপেক্সকো মেলায় ৩০ প্রতিষ্ঠান ৫০টি স্টলে তৈরী পোশাক শিল্পের বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।