ঘুরে আসুন ওয়ারী বটেশ্বর

Tour wary

Tour waryনরসিংদী জেলাতে যতগুলো প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রত্নস্থান রয়েছে ওয়ারী-বটেশ্বর তার মধ্যে অন্যতম। প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বের এ প্রত্নস্থান ১৯৩৩ সালে আবিস্কৃত হয়। ওয়ারী বটেশ্বর বাংলাদেশের একটি প্রাচীন জনপদ। পুরানো ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় এটি অবস্থিত।

 যা দেখতে পাবেন

ওয়ারী বটেশ্বর সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত একটি প্রত্নস্থান। কৃষিজমি, বাগবাগিচা ও ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়ে আছে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন এক নগর। ওয়ারী-বটেশ্বর থেকে প্রাগৈতিহাসিক যুগের পাথর ও প্রস্তরীভূত জীবাশ্মা কাঠের হাতিয়ার, তাম্রবসতি আবিস্কৃত হয়েছে। ওয়ারী-বটেশ্বর ছিল বাংলাদেশের প্রাচীনতম মহাজনপদ। দুর্গনগরটি ছিল সেই মহাজনপদের রাজধানী। ইতোমধ্যে এখান থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে মাটির দুর্গপ্রাচীর, পরিখা, পাকা রাস্তা,পার্শ্বরাস্তাসহ ইটনির্মিত অনন্য স্থাপত্যনিদর্শন।

পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় অবস্থিত ওয়ারী বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র। ওয়ারী বটেশ্বর বিকশিত হয়েছে স্বল্প মূল্যবান পাথরের নয়নাভিরাম পুঁথি তৈরির কারখানার জন্য। ১৯৩৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়ারী গ্রাম খননের সময় শ্রমিকেরা একটি মৃর্যা পাত্রে সঞ্চিত কিছু রৌপ্যমুদ্রা পান। তারা এর বেশিরভাগ স্থানীয় বেনেদের কাছে বিক্রি করে দেন। ওয়ারী বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের শুরু এভাবেই। তারপর এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে উপমহাদেশের প্রাচীনতম ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা ও মুদ্রাভাণ্ডার, অনন্য স্থাপত্যকীর্তি, হরেক রকমের পুঁথি, সুদর্শন লকেট ওমন্ত্রপূতকবচ,বাটখারা, পোড়ামাটি ও ধাতব শিল্পবস্তু, মৃর্যাকপাত্র, চিত্রশিল্প ইত্যাদি।

উয়ারী বটেশ্বরে আব্বাস উদ্দিন নয়ন
উয়ারী বটেশ্বরে আব্বাস উদ্দিন নয়ন

 কিভাবে যাবেন

সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রথমে বাসে করে নরসিংদী যেতে হবে। তারপর নরসিংদী থেকে যেকোনো যানবাহনে করে ওয়ারী বটেশ্বর যাওয়া যায়।

থাকার ব্যবস্থা

নরসিংদী জেলা শহরে অনেক আবাসিক হোটেল রয়েছে। যেকোনো হোটেলে রাত্রিযাপন করা যায়।

একে/এএস