নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এক উপ-পরিদর্শকসহ নিহত পুলিশের দশ সদস্যের স্মরণে ‘দৃপ্তশপথ’ নামের একটি স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিফলক উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
উদ্বোধন শেষে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক আসাদুজ্জামান, শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা, থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১ সালের ১৫ জানুয়ারি বেলাব থানার দশ পুলিশ সদস্য জেলা পুলিশ লাইনে প্যারেড বিফ্রিংয়ে অংশ নিতে নরসিংদী যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী পুলিশ ভ্যানটি বেলা এগারটার দিকে শিবপুরের ঘাশিরদিয়া এলাকা অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছ বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পরিদর্শক (তদন্ত) ও উপ-পরিদর্শকসহ আট সদস নিহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওসি ফারুক আহমেদ খানকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর এবং সদস্য প্রিয়তোষ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতরা হলেন, বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) ফারুক আহমেদ খান (৪৫), পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল হক (৪২), উপ-পরিদর্শক (এসআই) কংকন কুমার মন্ডল(৪২), কন্সটেবল কৃষ্ণ কুমার বর্মণ(৫০), রিয়াজ উদ্দিন (৪০), নারায়ন চন্দ্র (৪৫), বজলুর রহমান (৫০), মাসুদ পারভেজ (৪২), প্রিয়তোষ (৫০) ও গাড়ির চালক রেজাউল হক (৪০)। নিহতরা সবাই বেলাব থানায় কর্মরত ছিলেন।
দুর্ঘটনার তিন বছর পর জেলা পুলিশের উদ্যোগে থার্মেক্স গ্রুপ, স্থানীয় সাংসদের অর্থায়নে নিহত দশ পুলিশ সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে দশ লক্ষ টাকা। স্মৃতি ফলকটি অলংকরন করেছেন চিত্রশিল্পি ফনি দাস।
এআর/সাকি