
ইউক্রেনে অনৈতিক আগ্রাসনের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার সংস্থাটির এক অনির্ধারিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খবর রয়টার্স বার্তা সংস্থার।
ইইউ’র সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরে অস্বীকৃতির জের ধরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতনের পর ঘটনার শুরু। পরবর্তীতে দেশটির ক্রিমিয়া প্রদেশের রাজধানী সিম্পেরোফলে অস্ত্রধারীদের উপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তোলে এবং এর কারণ হিসেবে রাশিয়াকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপ অন্যায্য নয় বলে আখ্যায়িত করে সামরিক বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেয়ার পর পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ অন্যায় এবং ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব বিরোধী বলে উল্লেখ করে আসছিল। এমনকি বর্তমান অবস্থান থেকে পিছু না হটলে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের হুমকি দিচ্ছিল তারা।
অবশেষে কয়েক সপ্তাহব্যাপী আলোচনার পরেও রাশিয়ার পক্ষ থেকে উপযুক্ত সাড়া না পাওয়ায় বুধবারের বৈঠকে অবরোধ আরোপের সম্ভাব্য কৌশল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জানিয়েছেন, আগামি সোমবার থেকে এই অবরোধ কার্যকর করা হবে। তবে এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে উপযুক্ত সাড়া পেলে অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে ইংগিত দিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স জানায়, অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে রাশিয়ানদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণা দিতে পারে ইইউ। তবে কৌশলগত কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই অবরোধের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।