
ভারতে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট ‘থ্রিজি’ সেবার দাম ক্রমেই কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে দ্বিতীয় প্রজন্মের টু’জির দাম। মোবাইল কোম্পানিগুলো বলছে, দেশটিতে থ্রিজির গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতেই টুজির দাম বাড়ানোর সাথে সাথে থ্রিজি দাম তুলনামুলকভাবে কমিয়ে এনেছে তারা। বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়িার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে মোট ১৬ কোটি গ্রাহক রয়েছে। যার চারভাগের একভাগের কাছে আছে স্মার্টফোন। আর এর অর্ধেক ব্যবহার করে উচ্চ গতি সম্পন্ন থ্রিজি সেবা। ২০১২ সালে ভারতের এয়ারটেল, ভোডাফোন এবং আইডিয়া তাদের ফোনের ইন্টারনেট বিল ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে। তখন থেকেই থ্রিজির ব্যবহার বছরে বছরে দ্বিগুন হারে বেড়েছে।
কোম্পানিগুলো বলছে, তারা চায় থ্রিজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে। গ্রাহকদের বলতে চায়, আপনাদের জন্য দেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। কিন্ত সুযোগটা কেন আপনারা ব্যবহার করবেন না বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেয় কোম্পানিগুলো।
ভোডাফোন ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র শুভ্র পাদি জানান, গত চারমাস আগেই থ্রিজি সেবার দাম কমিয়ে এনেছে ভারতের কোম্পানিগুলো। আগামীতে টুজি ও থ্রি উভয় সেবার দাম কমানো হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনেক দাম দিয়ে এই নতুন টেকনোলজি সেবা চালু করেছে মোবাইল প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্ত মানুষ যদি সুযোগ ব্যবহার না করে সেই পুরাতন ভার্সনকেই ব্যবহার করে তাহলে নতুন প্রযুক্তির উদ্দেশ্য আর থাকে না। পাদি বলেন, বর্তমানে ভারতে যে দামে গ্রাহকরা থ্রিজি সেবা পাচ্ছেন, এরচেয়ে বেশি সস্তায় এই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, ২০১০ সালে যখন ভারতে থ্রিজি সেবা আনা হয় তখন তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। আজও পর্যন্ত সেই টাকা ওঠাতে পারে নি বলে জানায় তারা।
এস রহমান/