আসছে কিশোর চলচ্চিত্র বৈষম্য

বৈষম্য,

বৈষম্য, সমাজ বদলাচ্ছে। আগাচ্ছে অর্থনীতি। দেশে মাথাপিছু গড় আয় বাড়ছে। শহরগুলো হয়ে উঠছে আরও জৌলুসময়। কিন্তু একটি জায়গায় যেন কোনো পরিবর্তনই নেই।  একটি মারাত্মক ক্ষতের মত সমাজে প্রদাহ বাড়াচ্ছে কেবল। এর নাম বৈষম্য। সমাজ-অর্থনীতি যত আগাচ্ছে, বৈষম্য যেন তত তীব্র হয়ে উঠছে।

সমাজের এই বৈষম্য একটু ভিন্নরূপে উঠে এসেছে কিশোর চলচ্চিত্র ‘বৈষম্যে’। শিশু-কিশোর চলচ্চিত্রের এই আকালের সময়ে একটি সাহসী প্রচেষ্টা। ইতোমধ্যে বৈষম্য চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে। আগামি ২১ মার্চ রাজধানীর চারটি হলে এর প্রদর্শন শুরু হবে। তার আগে ১৮ মার্চ বসুন্ধরা শপিং মলের সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে প্রিমিয়ার শো ।

দেশের প্রথম ও একমাত্র ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক অনলাইন অর্থসূচক বৈষম্যের অন্যতম মিডিয়া পার্টনার। অন্য পার্টনাররা হচ্ছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, দ্যা ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও সমকাল।

বৈষম্য সিনেমাটি কাহিনীর পটভূমি একজন ধনী বাবার সঙ্গে তার বখে যাওয়া সন্তানের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে। কিশোর সন্তানকে জীবনের কঠিন বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা দিতে বাবা তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। অভিমানী পুত্র ঘর ছেড়ে বের হয়ে এসে ঘুরতে থাকে রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায়। ঠাঁই নেয় বস্তিতে। আর এখানে এসে তার আত্ম উপলব্ধি হয়। সে জীবনের আরেক রূপ দেখতে পায়। সাধারণ মানুষের কঠিন জীবন সংগ্রাম, অভাব, সুখ-দু:খ, চাওয়া-পাওয়া, বঞ্চনা, হতাশা আবার এসবের মধ্যেই টিকে থাকার অদম্য চেষ্টা- এক অনন্য অভিজ্ঞতার মুখোমুখী হয় সে।

সিনেমাটির পরিচালক এ্যাডাম দৌলা মনে করেন, এটিই তার সিনেমার অনন্য দিক। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে সমাজের সমৃদ্ধি ও বঞ্চনার দুটি দিক, আমাদের মূল্যবোধ এসব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

ছবিটিকে কেউ কেউ আর্টফিল্ম মনে করছেন। তবে এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন পরিচালক। তার মতে এটি আর্টফিল্মের মোড়কে মূলত একটি বাণিজ্যিক ছবি। এর কাহিনীতে টানটান উত্তেজনা রয়েছে, সংলাপ উপভোগ্য। সিনেমাটিতে আছে দুটি গান, তার সাথে নাচ, আছে ফাইটিং দৃশ্য-সব মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সব উপাদান।

ছবিটিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ১৪ বছরের কিশোর আবীর হোসেন অংকন। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন রনি ও পরিচালক এ্যাডাম দৌলা।

বৈষম্য প্রযোজনা করেছে কীর্তনখোলা প্রোডাকশন। এটি পরিবেশন করছে ওয়ান স্টোন ফিল্মস।