
শনিবার রাতে কুয়ালামপুর থেকে বেইজিং যাচ্ছিল বিমানটি। আকাশের উড়াল দেওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই এয়ার ট্রাফিকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ২৫০ জন মানুষ নিয়ে হারিয়ে যায় বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি। বিমানটিতে থাকা ১২ জন ক্রু ও নানা দেশের ২৩৯ জন যাত্রীর ভাগ্যে কী জুটেছে তা এখনও অজানাই।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস জানিয়েছে বিমানটিতে চীনের ১৫২, মালেশিয়ার ৩৮, ইন্দোনেশিয়া ৭, অস্ট্রেলিয়ার ৬, ভারতের ৫, ফ্রান্সের ৩, যুক্তরাষ্ট্রের ৩, নিউজিল্যান্ডের ২, ইউক্রেনের ২, কানাডার ২, ইটালির ১, নেদারল্যান্ডের ১ এবং অস্ট্রেলিয়ার ১ জন যাত্রী নিয়ে হারিয়ে যায়।
বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছাড়াও বিমানটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও ছিলেন। ফেসবুকের ২০ জন কর্মকর্তা নিখোঁজ বিমানটিতে ছিলো বলে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই কর্মীরা মোটোরলার সাথে কাজের বিষয়ে ও দক্ষিণ এশিয়ার এর নতুন কিছু সেবার বিষয় নিয়ে কাজ করতেই এক হয়েছিলো। সংস্থাটি বলছে তাদের নিঁখোজ কর্মীদের মধ্যে ১২ জন চীনের এবং বাকিরা মালেশিয়ার।
এদিকে রোববার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে হারিয়ে যাওয়া মালেশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটি ভিয়েতনামের থো চু দ্বীপের সমুদ্রে ভেঙে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে উদ্ধারকাজ শুরু করতে ভিয়েতনাম নৌ-বাহিনীকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।