বিমানটি ছিনতাই হয়েছে! ফেরার আশা করছে কর্তৃপক্ষ

  • sahin rahman
  • March 9, 2014
  • Comments Off on বিমানটি ছিনতাই হয়েছে! ফেরার আশা করছে কর্তৃপক্ষ
malaysia-plane

malaysia-planeচীনগামী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের হারিয়ে যাওয়া বিমানটি আবার ফিরে আসছে বলে জানিয়েছে দেশটির এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি বিধ্বস্ত নয়, বিমানটি ছিনতাই হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের পাসপোর্ট থাইল্যান্ড থেকে চুরি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছিল, গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত তাদের ভিডিও ফুটেজ চেক করা হচ্ছে। এছাড়া অনুসন্ধান এলাকা বৃদ্ধি করে উদ্ধারকর্মীদের অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের।

বিমানটি চীনের উদ্দেশ্য শনিবার স্থানীয় সময় ২টা ৪০ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে ছেড়ে যায়। কিন্ত ১০টা ৩০ মিনিটে এটি বেইজিং-এ পৌঁছানোর কথা থাকলেও এটি পৌঁছায়নি। ভিয়েতনামী সরকারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, দক্ষিণ ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটির রাডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ান এভিয়েশনের এক মুখপাত্র আজহারুদ্দীন জানান, মালয়েশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোসহ অনুসন্ধান এলাকা বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, বোয়িং-৭৭৭ বিমানটিতে যাত্রীদের তালিকায় ৫ জন আরোহীর নাম ছিল। কিন্তু তারা বিমানে ওঠেননি। তাদের ল্যাগেজও সরানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

উদ্ধারকর্মীদের দায়িত্বে থাকা প্রধান জেনারেল জুলকেফি জানান, উদ্ধারকাজে মোট ২২ টি বিমানসহ ৪০ টি জাহাজ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

মালয়েশিয়ান একজন সামরিক কর্মকর্তা জানান, বিমানটি আবার কুয়ালালামপুরে ফিরে আসার সম্ভাবনা ইতিবাচক। তিনি আরও জানান, বিমানটি যে পথে পাড়ি দিয়েছিল সেই রাডার পথে অনুসন্ধান কাজ জোরদার করা হয়েছে। ফলে এটি আবার ফিরে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে চীনের সি-১৩০ উদ্ধারকর্মীদের সাথে ভিয়েতনামের একজন কর্মকর্তা জানান, ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুধু তেলের স্লিক অংশ ভিয়েতনাম সাগরের পানির ওপর ভেসে থাকতে দেখা গেছে।  যা থেকে  বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছিলেন, হতভাগ্য বোয়িং-৭৭৭ চীন সাগরে ডুবে গিয়েছে।

গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়, বিমানটিতে যাত্রীদের তালিকায় এমন দু’জন আরোহীর নাম আছে যাদের একজন ইতালীয় এবং অন্যজন অস্ট্রিয়ার নাগরিক। তারা ওই ফ্লাইটটিতে ছিলেন না। তাদের পাসপোর্ট দু’টো থাইল্যান্ড থেকে চুরি গেছে বলে জানায় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। ফলে বিমান নিখোঁজ হবার ঘটনাটি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কি-না সে ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছিল।

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অভিযান চালাচ্ছে তারা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমানের কোন ‘চিহ্ন’ খুঁজে পাওয়া যায়নি।  ৫ জন শিশুসহ ২২৭ জন যাত্রী, এবং ১২ জন ক্রু নিয়ে বিমানটি যাত্রা শুরু করেছিল।

এস রহমান/