আগামি অর্থবছরের মধ্যেই কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। একাধিক লেন বিশিষ্ট এ টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। টানেলটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
রোববার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানেল নির্মাণের এ ঘোষণা দেন। এদিন সকালে চট্টগ্রামে পশ্চিম পটিয়ার আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সেতুর পুনঃসংস্কার পরবর্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামি সপ্তাহেই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি বিশেষজ্ঞ দল।
মন্ত্রী জানান প্রকল্পটি শেষ করতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ কবে। আর এটি হবে নদীগর্ভে দেশের একমাত্র টানেল।
প্রসঙ্গত প্রায় নির্মিতব্য এই টানেলের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এই প্রকল্পের প্রস্তাবটি দিয়েছে চায়না কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।
মন্ত্রী বলেন, টানেল নির্মাণের জন্য একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সাথে ঋণপত্র স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রত্যাশিত এ টানেল নির্মিত হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে আরেকটি নতুন শহর গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম কর্ণফুলি নদী দিয়ে কার্যত দুইভাগে বিভক্ত। নদীতে বিদ্যমান দুটি সেতুও নগরীর দুই অংশের যান চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নয়। জলাবদ্ধতা ও খালগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থাও। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পলি জমায় নষ্ট হচ্ছে নদীর স্বাভাবিক গতি।
এ অবস্থায় নদীর নাব্যতা রক্ষা, নগরীর দুপাশ ও গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কর্ণফুলি নদীর নীচে একটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। প্রায় সাড়ে বারো কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতাও যাচাই শেষ হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও কত দিন সময় লাগবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান আগামি ডিসেম্বরের চার লেনের কাজ শেষ হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আসছে বছরই ওই রুটের চার লেনেই গাড়ি চলাচল শুরু করবে।
আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুর জামান জাবেদ,পটিয়ার সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী এবং সাংসদ বীর বাহাদুরসহ প্রমুখ।