
বাণিজ্যিক সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ এবং সকল প্রকার বর্ধিত ফি বাতিলসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সোমবার দুপুর দেড়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ফয়সাল ফারুক অভিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি’র) ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসির কৌশলপত্র অনুসরণ করে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর কথা বলে বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ফি বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিক কোর্সগুলোর মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বেশি অংকের টাকার বিনিময়ে মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট প্রদান করা। প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করে যাচ্ছে। ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একতরফাভাবে বর্ধিত ফিসহ বিভিন্ন ফি বহাল রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ফি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করা হলে ছাত্রলীগ এবং পুলিশ তাদের ওপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে। এছাড়া, গত কয়েকদিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল উদ্ধার এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ধিত ফি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করা হলে সেখানেও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবির কথা বলা হয়। দাবিগুলো হলো- সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বন্ধ ও বর্ধিত ফি বাতিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট নিরসন এবং রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে আগামি ৬, ৯, ১০ ও ১১ মার্চ চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার কথা বলা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারিক, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি প্রবীর সাহা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের অপর অংশের সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।