
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে আর কোনো ধরনের কারসাজি হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের মাধ্যমে এ পথ বন্ধ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিডিবিএলের বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, পাকিস্তান, ভারতসহ যেসব দেশে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে সব দেশেই একটি ঝামেলার মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনটি হয়নি। ব্রোকারেজের মালিকরা নিজেরাই এ উদ্যোগের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের ফলে বাজার এখন অনেক গতিশীল বলেও মনে করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালের ধসের পর থেকে গত তিনি বছর ধরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (বিএসইসি) নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাজারে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। দিনি দিন বাজার আরও স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, সূচক ওঠা-নামা করা এটি বাজারের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বিডিবিএলের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাংকটির জন্ম একটি ঘোলাটে জায়গা থেকে। এখন এটি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে সামনের দিকে এগোচ্ছে। তারপরও এ ব্যাংকের মাথায় অনেক বোঝা রয়েছে। তাই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। এ জন্য বিডিবিএলকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আগামি ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে একটি নীতিমালা তৈরি করার জন্য বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিডিবিএল একটি অন্ধকার জায়গা থেকে তৈরি হয়েছে। আজকে এ ব্যাংকটি একটি পর্যায়ে এসেছে। এখান থেকে আর পিছে ফেরার সুযোগ নেই। এটির ভালোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাধ্যের মধ্যে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম বলেন, বর্তমানে ব্যাংকটির ৫২০ কোটি টাকার ক্ল্যাসিফাইড ঋণ রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন ব্যাংকের নিট মুনাফা বৃদ্ধির জন্য দুর্বল ব্যাংকিং পরিবর্তন করে কোর ব্যাংকিং চালু করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে অ্যাজেন্ট ব্যাংকিং চালুর পরামর্শ দেনে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিডিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান প্রমুখ ।
জিইউ/ এআর