
সরকারের মন্ত্রী এমপিরা প্রটোকল নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে দলীয় প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে প্রচারণা চালাচ্ছে। আর এতে আচরণ বিধি লঙ্গণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুজনের নেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে আয়োজিত ‘চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার প্রসঙ্গ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তারা এমন মন্তব্য করেন।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে এমপিদের নাম রয়েছে, যা আইনের পরিপন্থি। আর এভাবে ক্ষমতাসীনদের হাতে সব নিয়ন্ত্রণ থাকলে আসন্ন নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।
তিনি বলেন, এমপিরা সংসদের আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত। সংসদে জনগণের কথা বলার জন্যই তারা নির্বাচিত। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা তাদের কোনো অধিকার নেই।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দল ভিত্তিক নির্বাচন হলে কিভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে, সে বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুনিশ্চিত করা উচিত।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অরাজনৈতিক হলেও রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী দিয়ে সেসব প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আইনভঙ্গ করছেন বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সামরিক শাষক হওয়ার কারণে এরশাদের জনসমর্থন ছিল না, তাই তিনি উপজেলা পরিষদ গঠনের মাধ্যমে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের বন্দুক দেওয়া হলেও গুলি দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হলেও তাদের কোন ক্ষমতা বা কাজ নেই।
উপজেলা পরিষদ একটি প্রতিবন্দী প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদশা বলেন, নির্বাচন কমিশন আরেকটি প্রতিবন্দী সন্তান প্রসবের চেষ্টা করছে।
সুজনের কেন্দ্রিয় সদস্য ও সাবেক বিচারপতি কাজী এবায়দুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।
জেইউ/সাকি