
যে হৃদয়ে বেদনা যতো বেশি বাজে, সে হৃদয় ততবেশি সজীব; আর কবিরা যে সজীব চিত্রের পরিচয় দেবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা আর যাই হোক নিরোর বংশধর নন।
যাকে ভালোবাসো তাকে গড়ে তোলো নিজের মতো করে। ভালোবাসা যদি গভীর হয় তাহলে আবার দেখা হবে। কবি তার কবিতায় ‘আবার কবে হবে দেখা’ তা ফুটিয়ে তুলেছেন এভাবেই।
বাংলা সাহিত্যে উদীয়মান কবি-সাহিত্যিকদের সারিতে একের পর এক যোগ হচ্ছে নতুন কবি, সাহিত্যিক। যারা বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও বেগবান। এরকমই এক নতুন প্রতিভাবান কবি মীর তারিকুল ইসলাম সজীব। যে ভালোবাসার প্রত্যেকটি গ্রহে গ্রহে ঘুরে লিখেছেন চমৎকার সব কবিতা।
তরুণ উদীয়মান এই কবির এ বছর ভালোবাসার নতুন একটি কবিতার বই বের হয়েছে। যার নাম ‘আবার কবে হবে দেখা’। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো তিনি বইটি প্রকাশ করলেন। গত বছর তার প্রথম প্রকাশিত হয় ‘স্মৃতি নষ্ট হয়ে গেছে’। বইটি পাওয়া যাবে বিজয় প্রকাশনীতে।
এবারের ‘আবার কবে হবে দেখা’ কবিতার বইটিতে রয়েছে দারুণ সব ভালোবাসার কবিতা। তার কবিতার কয়েকটি শিরোনাম- তবে কেন?, এত ভাবি তোমায়, আবার কবে হবে দেখা, নিঝুম রাতে চাঁদ উঁকি মারে, কবিতায় আমার না-বলা কথা, ভালোবাসা তুমি এতো যাতনা, ভালোবেসে প্রাণ ভরে না, চুপি চুপি রাগ করো না এবং ভালোবাসার কুল কিনারা।
‘আবার কবে হবে দেখা’ কাব্যগ্রন্থের কবি মীর তারিকুল ইসলাম অর্থসূচককে বলেন, লেখা লেখির কারণে মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া যায় এবং হৃদয়ে গভীরে প্রবেশ করা যায়।
তিনি বলেন, মনের আনন্দেই লেখা-লেখি করি। মানুষ ও দেশকে ভালোবাসি বলেই মানুষের পাওয়া না পাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে চেষ্টা করি। আর সে ভাবনা কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস এই বইটিতে। মানুষের জীবনের নানা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে লেখা আমার এ কাব্যগ্রন্থটি আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
তিনি বলেন, কবিতাই মানুষকে বিপ্লবী করে তুলে, আমাদের ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলন তার বাস্তব প্রমাণ। যুগে যুগে কবিতার অবদান অতুলনীয়।
এই কবি বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহা-পরিচালকের কার্যালায় কর্মরত আছেন। ভবিষ্যতে যেন আরও ভালো ভালো লেখা উপহার দিতে পারেন, সেজন্য সকলের ভালোবাসা কামনা করেছেন তিনি।
এসএস/কেএফ