
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ ডলারের প্রয়োজন হলেও সরকার তার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত দেবে না। বাজেট বরাদ্দের টাকাকে ডলারে রূপান্তর করা হবে। এ সেতুর জন্য প্রতি বছরই বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে।
সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মলন কক্ষে অনুষ্ঠাত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান,ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান,ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম. আসলাম আলম,অতিরিক্ত সচিব অমলেন্দু মুখার্জী উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন,বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি ঠিক নয়। পত্র-পত্রিকায় ভুলভাবে প্রতিবেদন আসছে। তিনি বলেন,
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ১ হাজার ৮৭৮ মার্কিন ডলার। আমি বলেছি যে,এ রিজার্ভ থেকে পদ্মা সেতুর জন্য ২০২ কোটি ডলার ব্যয় করতে হতে পারে।সরকার যে পরিমাণ ডলার নেবে তার বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা দিয়ে দেবে।
অর্থমন্ত্রীর পরামর্শে গভর্নর আতিউর রহমান এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়েছে। ওই হিসাবে জমা হওয়া টাকাকে ডলারে রূপান্তর করবে অগ্রণী ব্যাংক। ডলার কম পড়লে অগ্রণী ব্যাংক তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চাইবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটেই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি একটি ব্যয় পরিকল্পনা দেওয়া রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। দাতাদের কোনো সাহায্য নেওয়া হবে না। কারণ সাহায্য দিলে সাথে নানা শর্তও দেয়।
মুহিত বলেন, দাতাদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হলে নতুন করে দরপত্র আহবান করতে হবে। কিন্তু এটি সময়সাপেক্ষ। গত বছরের জানুয়ারি থেকেই সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর বাজেটে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের নির্মাণ ব্যয়ের একটি কাঠামো।
পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য চার আগ্রহীর মধ্যে তিনটির দরপত্র মূল্যায়ণ চলছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন সেতুর তিন গুরুত্বপূর্ণ অংশের দরপত্রের কাজ চলছে। এর দুইটির দরপত্র খোলা হবে এ মাসের শেষে। আর একটি খোলা হবে আগামী জুনে।