
নতুন বছরের শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের বেশি হলেও জানুয়ারি মাসে তা অর্ধেকে নেমেছে। এ মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। অথচ আগের দুই মাস তথা ডিসেম্বর ও নভেম্বর মাসেও এ আয় বেড়েছিল যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৫৫ ও ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। জানুয়ারি মাসে প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যাওয়ায় সাত মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) গড় প্রবৃদ্ধি কমে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ২৭৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকে প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের হার কমে গেছে। আর তা হয়েছে তৈরি পোশাক খাতে বছরভর চলমান অস্থিরতা এবং হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাবে।
তবে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি কমলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হয়নি। বরং রপ্তানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আলোচিত মাসে রপ্তানি আয়ের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। প্রকৃত আয় তার চেয়ে ৭ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।
জানুয়ারি মাসেও প্রধান চার রপ্তানি খাতে ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হার ছিল অনেক কম। এদের মধ্যে শীর্ষ খাত ওভেন পোশাকে সাত মাসে আয় হয়েছে ৭১৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, যা আগের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। নীট পোশাকে রপ্তানি আয় ১৮ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ৬৯৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার হয়েছে। হিমায়িত খাদ্যে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। চামড়া ও চমড়াজাত পণ্যে যথাক্রমে ৪৫ দশমিক ৩৮ ও ৪৬ দশমিক ৬১ শতাংশ আয় বেড়েছে।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে গত সাত মাসে কৃষিজাত পণ্যে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ; ফুটওয়্যার বা চামড়ার তৈরি জুতায় ৩৩ দশমিক ২১শতাংশ বেড়েছ।
এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটে রপ্তানি আয় ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া হোম টেক্সটাইলে কমেছে দশমিক শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম উপ-পাত পণ্যে ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, কসমেটিসে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে।