রাজশাহীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘুষ দাবি করায় ধাওয়া খেলেন শিক্ষা অফিসার

rajshahi

rajshahiরাজশাহীর বাঘায় এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম। রোববার সকালে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ তুলে উপজেলার ইসলামী একাডেমি এসএসি ভোকেশনাল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করে কেন্দ্রে থেকে বের করে দেন।

এদিকে ঘুষ দাবির অভিযোগে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ৮টি কারিগরি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার এসএসসি ভোকেশনালের পদার্থ বিজ্ঞান-২ পরীক্ষা ছিল। বাঘা ইসলামী একাডেমির কারিগরি স্কুল কেন্দ্রের ভেন্যু কেন্দ্র শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মকিম নানা অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন।

এ সময় কেন্দ্রের ভেতরেই গুঞ্জন ছড়িয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম কেন্দ্র সচিবের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। এই টাকা না দিলে নকল করার অভিযোগ তুলে তিনি পরীক্ষার্থীদের হয়রানিসহ গণহারে বহিস্কার করবেন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে পরীক্ষার্থীরা। পরে পরীক্ষা শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষা কমকর্তা আব্দুল মকিমকে ধাওয়া করে। এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরীক্ষার্থীরা শান্ত হয়।

কেন্দ্র সচিব ও ইসলামী একাডেমীর অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পাওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম ৪০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তাকে ধাওয়া দেয়।

তবে ঘুষ দাবি ও ধাওয়া খেয়ে পালানোর কথা অস্বীকার করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মুকিম। তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আমি মোটরসাইকেল যোগে কেন্দ্র থেকে চলে এসেছি। সেখান থেকে পালিয়ে আসার প্রশ্নই আসে না। যারা এই ধরনের কথা রটাচ্ছে, তারাই ওই কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকল করতে সহযোগিতা করছে। এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে অপপপ্রচার ছড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা দিল হাছিন সাংবাদিকদের জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সাকি/