ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় তিনটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ভাঙ্গা উপজেলায় বোনের বাড়িতে ভাই ও শশুর বাড়ীতে জামাই আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে সদরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খলিল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক তিনটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মজিবর রহমান জানায়, ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের খাটরা গ্রামে রোববার সকালে রশিদ মাতব্বরের মেয়ে জামাই শুকুর মৃধা (৪৫) বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। স্ত্রী ও সন্তানেরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে নিচে নামালেও ততক্ষনে সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে শনিবার রাতে বৃদ্ধ সুনিল দাস (৬৫) তার বোন আশা রানী দাসের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের কাফুরপুর গ্রামে বেড়াতে এসে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। বাড়ির লোকজন বৃদ্ধকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। বৃদ্ধার গ্রামের বাড়ী উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের উচাবাড়ি গ্রামে।
অপরদিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খলিল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, উপজেলা সদরের মটুকচর গ্রামে করিমন বেগমের পুকুরের পানি পার্শ্ববর্তী খলিল মুন্সীর হাঁসে নষ্ট করায় ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার একপর্যায় হাতাহাতি হয়।
পরে খলিলমুন্সী বাড়ির সামনে একটি দোকানের কাছে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় সদরপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। রবিবার সকালে সদরপুর থানা পুলিশ খলিল মুন্সীর লাশ মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
সাকি/