
দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ কোম্পানি অনিয়ম করে পার পেয়ে যায়। আর তাই কোম্পানির গঠণতন্ত্রের বৈধতা নিয়ে সন্দিহান বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় কোম্পানি ও সোসাইটি নিবন্ধন আইন পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
রোববার দুপুরে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে‘ জাতীয় সামজিক নিরাপত্তা কৌশল খসড়া পযোলচনা-১’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রশন অব জয়েনস্টক এন্ড কোম্পানি (আরজেএসসি) শুধু কোম্পানি নিবন্ধন দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে। কোম্পানি থেকে কেউ প্রতারিত হলে কার কাছে যাবে ভুক্তভোগীরা তা খুঁজে পান না।
আর এই ধরনের সংকট নিরসনে ১৮৬০ সালের এই আইনটি আশু পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৮৬০ সালের আইনটি ইংরেজ সরকারের সময় প্রথম প্রয়োগ শুরু হয়্ এর পর পাকিস্তান সরকারের অধিনেও এটই একই আইন ছিলো। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে বেশ কিছু আইনের পরিবর্তন হলেও এই আইনটির কোনো বদল হয়নি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৮ লাখ। এদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে আছে ৩৫ লাখ আর স্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে ৬৮লাখ। এর মধ্যেও আবার কিছু ভোগাস আছে।’
তিনি আরও বলেন, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধন করা দরকার। কেননা হায় হায় কোম্পানিদের কাছ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনের কোনো বিকল্প নাই।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বলা ৫০ ভাগ দরিদ্র বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে অতি দরিদ্রের হার ১১ ভাগ এবং দরিদ্রের হার ২৬ ভাগ।’
“খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা অনেক খরচ করি। এখাতে অনেক উন্নতি হয়েছে এটা আমাদের বজায় রাখতে হবে।”
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা সুবিচার, সুশাসনের কথা বলছি। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্রসীমা ৪০ ভাগ থেকে ২৬ ভাগে নিয়ে এসেছি। তিনি এটাকে একটা বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আতিউর রহমান, পরিকল্পনা সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
এইচকেবি/