
টু সিসি (2 cc) হচ্ছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) দেওয়া বিশেষ আইনী ক্ষমতা। এ ক্ষমতা বলে বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি ও তার স্পন্সর বা পরিচালকদের উপর যে কোনো শর্ত আরোপ করতে পারে। তবে এ শর্ত অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। অর্থাৎ বিএসইসি যদি মনে করে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কোনো শর্ত আরোপ করা প্রয়োজন তাহলেই কেবল তা আরোপ করতে পারে।
সিকিরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ অনুসারে এ ক্ষমতা ভোগ করছে বিএসইসি। অবশ্য শুরুতেই এ আইনে ধারাটি ছিল না। ১৯৯৭ আইনটি সংশোধন করে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (সংশোধিত) আইন-১৯৯৭ এ ধারাটি সংযোজন করা হয়। টু সিসি আসলে ওই আইনের একটি ধারার নাম।
টু সিসি অনুসারে কোম্পানি আইন অথবা বিদ্যমান অন্য কোনো আইন অথবা সংঘবিধি ও সংঘস্মারকে যা-ই থাকুক না কেন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে যে কোনো শর্ত আরোপ করতে পারে বিএসইসি। অন্য আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে টু সিসি বলে জারি করা নির্দেশনাই কার্যকর হয়।
বাংলাদেশের আর কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন সুপার পাওয়ার নেই। পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে সৃষ্ট ধ্বসের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি (তৎকালীন এসইসি) টু সিসি’র এখতিয়ার বলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ন্যূনতম ২ শতাংশ এবং স্পন্সরদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার নির্দেশনা জারি করে। কয়েকটি কোম্পানির পরিচালকরা টু সিসি বলে পাওয়া বিএসইসির এখতিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রীট আবেদন করে। দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত সব রীট আবেদন খারিজ করে দেয়। এতে টু সিসি’র আইনী এখতিয়ার আরও পাকাপোক্ত হয়।